১২টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ খনন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিবচরে ময়নাকাটা নদীর খনন কাজের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও আওয়ামীলীগ পার্লামেন্টারী পার্টির সেক্রেটারী ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি নূর-ই আলম চৌধুরী এমপি । এর আগে উপজেলার প্রায় ৪ শ দলিত, দুঃস্থ ও মেধাবীদের মাঝে নগদ অর্থ , সেলাই মেশিন, ও অনুদানের চেক বিতরন করেন আ’লীগ পার্লামেন্টারী পার্টির সেক্রেটারী ।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে উপজেলার উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়নের চরটেকেরহাট থেকে শিবচর পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ময়নাকাটা নদীর এ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয় । ১১ কিলোমিটার নৌপথে প্রায় ৮ লক্ষ ঘনমিটার খনন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানান। এসময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব ভোলানাথ দে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়াজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মুনির চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন খান ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপজেলা অডিটরিয়ামে প্রশাসন আয়োজিত অনুদান বিতরন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত ২ জনের মাঝে ১ লাখ টাকার চেক, ৫ জন দুঃস্থদের মাঝে নগদ ২৫ হাজার টাকা, মাদারীপুর জেলা পরিষদ থেকে ৬৮ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক, ২৫ জন দুঃস্থ অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দলিত সম্প্রদায়ের ৪০ জনের মাঝে নগদ ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা, উপজেলা পরিষদ থেকে ১শ শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪ লাখ টাকার উপবৃত্তির চেক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ১শ ৫০ জন শ্রমিকদের মাঝে বিভিন্ন প্রকল্পের লভ্যাংশ বাবদ ৬ লাখ ১০ হাজার ৩শ ২৬ টাকার চেক বিতরন করা হয় ।
নদী খননকাজের উদ্বোধনকালে নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, নদী খননের ফলে দেশের নদ-নদীগুলোর নাব্যতা দূর হবে এবং নদীর পলি অপসারণের মাধ্যমে নতুন রাস্তাঘাট তরি করা সম্ভব হবে। নদীর নাব্যতা ফিরে এলে সাধারণ মানুষ কৃষি কাজে নদীর পানি সেচ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। ময়নাকাট নদীর এ নৌ-পথটি খনন করা হলে পানি সর্বনিম্ন স্তরে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসূমে নৌ-পথটিতে ১২০ ফুট প্রশস্ততা ও ১০.০০ ফুট গভীরতা বিদ্যমান থাকবে। সারা বছর ৮ ফুট ড্রাফটের নৌযান নিবিঘ্নে চলাচল করতে পারবে ।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষদের জন্য নৌ-পথে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লঞ্চ, ফেরিসহ বিভিন্ন যানবাহনে যাতে নৌ দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে কঠোর নজর দারী রাখা হবে।