মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার প্রায় ২০টি বিলের ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর ইরি-বোরো ধানের মধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। টানা বর্ষণের আগে ৮-১০ শতাংশ ধান কৃষক বাড়ি তুলতে পরলেও মাড়াই ও রোদের অভাবে ধানে অঙ্কুর গজিয়ে যাচ্ছে।
এ বছর কালকিনি উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়। আবাদের অর্ধেকেরও বেশি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। টানা বর্ষণ চলতে থাকলে সব ধান পানির নিচে চলে যাবে। এ অঞ্চলে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে ধান কাটা শুরু হয় এবং মাসের শেষের দিকে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হওয়ার কথা। প্রবল বাতাসের কারণে বেশিরভাগ ধান মাটিতে পড়ে যায়। যাও দাঁড়িয়েছিল, তার ৭০ শতাংশ টানা ১০ দিনের বর্ষণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কৃষক তড়িঘড়ি করে ৮-১০ শতাংশ ধান কেটে বাড়ি উঠিয়েছেন। কৃষক আবদুল কুদ্দুস বেপারী, রহমান হাওলাদার, করিম সরদার, নিধন হালদার, আশিষ বাড়ৈ এবং ফজর আলী জানান, ইরি-বোরো ধান চাষ করতে শতাংশপ্রতি ৬০০-৭০০ টাকা খরচ হয়। ঝড়বৃষ্টিতে ধান নষ্ট এবং পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যদি দু-এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যায়, তাহলে কিছু ধান ঘরে উঠবে।
কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, প্রবল বর্ষণে ৪০ শতাংশ ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
কাটা ধান মাড়াই করতে না পারায় এবং তলিয়ে যাওয়ায় বোরো ধানের ২০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। শিকারমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস বেপারী, আলীনগর ইউপির মনির হাওলাদার, এনায়েতনগর ইউপির শহিদুল্লাহ মারুফ এবং নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান পুনিল বিহারী সরকার জানান, তাদের ইউনিয়নের প্রায় ৭০ ভাগ ধান, পাট এবং মরিচ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ গোলাম মোস্তফা জানান, এখনো কৃষকের তেমন ক্ষতি হয়নি। জমিতে যে ধান রয়েছে, তা পানি কমে গেলে কাটা যাবে। তারা বিভিন্ন বিলে ঘুরে কৃষককে পানি নামার পর ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছেন।