আঙ্গুর প্রায় সবারই একটি পছন্দের ফল। প্রায় ৬,০০০-৪,০০০ বছর আগে পৃথিবীর পূর্বাঞ্চলে আঙ্গুরের চাষ শুরু হয়। ৪,০০০ বছর আগে জর্জিয়ায় ওয়াইন তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মানে হল আঙ্গুর ও আঙ্গুরের তৈরি খাবারের ইতিহাস অনেক কালের পুরনো।
সুস্বাদু এই ফল দিয়ে ওয়াইন, রস, এবং জেলি-জ্যাম তৈরি করা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নানারকম মুখরোচক রান্নায় এর ব্যবহার হয়। আর জানেনই তো আঙ্গুর শুকিয়ে হয় কিশমিশ, যা ছাড়া আপনার শখের খাবার গুলো একদমই বেমানান।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাদা, সবুজ ,লাল, কালছে খয়েরি এমন নানা রঙের আঙ্গুর জন্মায়। এমনকি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আজকাল বীচি ছাড়া আঙ্গুর জন্মানো হয়। পৃথিবীর প্রায় ৭৫.৮৬৬ বর্গ কি. মি. জায়গা জুড়ে আঙ্গুর চাষ হয়। এর মোট উৎপাদনের ৭১% ওয়াইন বানাতে,২৭% তাজা ফল হিসেবে এবং ২% শুকনো ফল হিসাবে ব্যবহার হয়। কোথাও কোথাও এর পাতাও খাওয়া হয়।
দেখে নেই আঙ্গুরে শরীরের জন্য কি কি পুষ্টিকর উপাদান আছে –
অন্যান্য ফলের মতই আঙ্গুর প্রাকৃতিক ভিটামিনে ভরপুর। এতে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’ আছে যথেষ্ট পরিমানে। এছাড়াও অল্প পরিমাণে পাওয়া যায় Thiamin, Riboflavin,Niacin, ভিটামিন B6, ভিটামিন ই, Folate এবং Pantothenic অ্যাসিড।
শরীরের খনিজ উপাদানের চাহিদা মেটাতে এতে আছে- পটাসিয়াম ,ক্যালসিয়াম,এবং ফসফরাস। এছাড়া অন্যান্য খনিজ পদার্থও যেমন কপার, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,সেলেনিয়াম, সোডিয়াম এবং দস্তা অল্প পরিমানে পাওয়া যায়।
আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তবে ফলের তালিকায় আঙ্গুর বেছে নিন। কারন আঙ্গুর আপনার দেহের ওজন না বাড়িয়েই অন্যসব দরকারি পুষ্টিকর উপাদান শরীরে পৌঁছে দেবে। যেমন– শর্করা, চিনি, প্রোটিন, ফাইবার,সম্পৃক্ত চর্বি, Mono-saturated ফ্যাটি অ্যাসিড এবং Polyunsaturated ফ্যাটী অ্যাসিড।
আঙ্গুর বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে এবং একটি সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেখে নেয়া যাক এর স্বাস্থ্য বেনিফিট গুলো –
আঙ্গুরের স্বাস্থ্যকর গুনাগুন তো আছেই, তবে সেই সাথে ত্বকের যত্নেও আছে এর নানারকম ব্যবহার। জেনে জেয়া যাক এমন কয়েকটি টিপসঃ
এবার এর দেরি কেন, বাজারের লিস্টে আঙ্গুরের নামটা লিখেই ফেলুন। নিজে খান, পরিবারের সবাইকে খাওয়ান।
Recent Comments