অনলাইনে আর্থিক লেনদেন ও মূল্য পরিশোধের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল। দেশের প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের কাছে বহুল প্রত্যাশিত এই পেপ্যাল আগস্ট মাসে বাংলাদেশে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কয়েক দফায় দেশে পেপ্যাল আসার তারিখ ঘোষণা করার পর এবার নতুন উদ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইন্টারনেটে টাকা লেনদেনের সুবিধার জন্য বাংলাদেশে আগামী মাসেই চালু হচ্ছে পেপ্যাল। এমন একটি ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণাই দিয়েছেন। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, “গভর্নর আমাকে বলেছিল, এই মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে একটি ব্যবস্থা হয়েছে। এখন বলছেন আগামী মাসের মধ্যে সম্ভব হবে। এটি শুরু হলে যারা আউটসোর্সিং করে তারা আর কম টাকা পাবে না।”
বাংলাদেশে সফটওয়্যার নির্মাতাসহ যেসব ফ্রিল্যান্সাররা দেশে বসে ওপেনসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জন করেন তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা দীর্ঘদিন নিজ উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক লেনদেন জটিলতা তাদের পিছু ছাড়ছে না।
পেপ্যালের মাধ্যমে যারা লেনদেন করেন তাদেরকে ভিনদেশের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে হচ্ছে। অথবা দেশে কারও সাথে পেপ্যালের টাকা লেনদেন করতে হলে সে ক্ষেত্রেও ফি দিতে হচ্ছে বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বেসিস এবং সরকার বেশ কয়েকবার দেশে পেপ্যাল নিয়ে আসার উদ্যোগ নিলেও তা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়।
দীর্ঘদিন ফ্রিল্যান্সারদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের শেষ মুহূর্তে এসে তারা উদ্যোগী হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে এবার দেশে পেপ্যাল আসার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পেপ্যালের বর্তমান প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয় ২০০০ সালে কনফিনিটি এবং এক্স ডট কমের একত্রীকরণের মাধ্যমে ম্যাক্স লেভচিন, পিটার থিয়েল এবং লুক নসেক ১৯৯৮ সয়ালে কনফিনিটি স্থাপন করেন মূলত পাম পাইলটের আর্থিক লেনদেন সুবিধা ও গুপ্তসঙ্কেত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে।
এলন মাস্ক ১৯৯৯ সনে এক্স.কম চালু করেন অনলাইন আর্থিক প্রিষেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। এক্স.কম ও কনফিনিটি উভয়েই ১৯৯৯ সনের শেষভাগে তাদের ওয়েবসাইট চালু করে উভয় প্রতিষ্ঠানই পালো আলটোর ইউনিভার্সিটি এভিনিউতে অবস্থিত ছিল।
ই-বে ২০০২ সালের অক্টোবার মাসে ১৫০ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়।
২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে পেপ্যাল ফ্রড সাইন্স নামে ইজরাইল-এর ব্যাক্তিমালিকানাধীন একটি নতুন প্রতিষ্ঠান যারা অনলাইন ঝুঁকির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিনে নিতে সম্মত হয় ১৬৯ মিলিওন ডলারের বিনিময়ে।
প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত তাদের আন্তর্জাতিক কলেবর বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে, একই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ই-বের বাইরে বৃদ্ধির জন্যেও কাজ করে যাচ্ছে।
পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে পেপ্যাল চালু থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বিখ্যাত (পৃথিবীর শীর্ষ তৃতীয় দেশ) বাংলাদেশ
এখন পর্যন্ত পেপ্যাল ব্যবহার করার অনুমোদন পায়নি।