রমজান মাস ও ২৯-এ শেষ হওয়ায় রোজার পর ঈদ এবার অন্য রকম আনন্দের বার্তা নিয়ে এল আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। ফজরের নামাজ শেষেই মুসল্লিদের শুরু হয় ঈদগাহে যাত্রা। সকাল ছয়টার ঈদের নামাজে শরিক হতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষের ক্রমাগত ভিড় বাড়ে ঈদগাহে। প্রতিবারের মতো আরব আমিরাতে ঈদের সবচেয়ে বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানকার রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত শেখ জায়েদ মসজিদে। ছোট-বড় সব ঈদগাহ ছাড়াও বড় মসজিদগুলোতেও একই সময় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদের নামাজ আদায়ের পর একে অন্যের গলায় গলা মিলিয়ে ঈদ মোবারক ধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আনন্দ। প্রিয়জনদের সুখের জন্য নিজের সুখ-আনন্দ বিসর্জন দেওয়া প্রবাসীরা অন্য রকমভাবেই দিনটি উদ্যাপন করেন। ঈদের দিন ছুটি থাকলেও ঈদের নামাজ আদায় করার পর অনেকেরই কেটে যায় সময় ঘুমের মধ্যে। অন্যদিকে, দুবাইয়ে দুই-তৃতীয়াংশ প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদের দিন কার্যদিবস থাকায় অন্য সব দিনের মতো দিনটিও তাঁদের স্বাভাবিকভাবেই কেটে যায়।
পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকলেও আনন্দের কমতি থাকে না প্রবাসী বাংলাদেশিদের। এখানকার সহকর্মী-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির মজাই আলাদা। সকালে যৌথভাবে ঈদগাহে নামাজ আদায়ের পর নানা রকম খাবারের আয়োজন, বিশেষ করে বিরিয়ানি-পোলাও। জমিয়ে আড্ডা-গল্প আর খোশ আমদে উদ্যাপিত হয় ঈদ। বন্ধুবান্ধবের বাসায় বেড়াতে যাওয়াসহ দিনটি উদ্যাপনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ানো ও ফটোসেশন মধ্যেই ঈদ আনন্দের সিংহভাগ সীমাবদ্ধ থেকে যায়। ঈদে পরবাসে প্রবাসীদের এটাই সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত।
এ ছাড়া প্রিয়জনের সঙ্গে কথপোকথনের মাধ্যমে কেটে যায় ঈদের এই বিশেষ দিন। প্রিয়জনকে ছেড়ে দূরে পরবাসে এ এক অন্য রকম ঈদ আনন্দ!