মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার লামচরি গ্রামের ছিদ্দিক হাওলাদার মিথ্যা ছিনতাই মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার সামনে জমির দলিল দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তর রাজদী গ্রামের সেলিম শেখের সাথে প্রকাশ্যে লোক-সমাগমে ঝগড়া হয়। এঘটনায় রাতে ২ভাইকে আসামী কওে একটি ছিনতাই মামলা দায়ের হয়। মিথ্যা মামলা দায়ের করায় এলাকায় সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
২ বছর আগে টাকার প্রয়োজনে সেলিম শেখ ৪শতাংশ জমি বিক্রি করেন পৌর মেয়র এনায়েত হাওলাদারের ভাই বেলায়েত হোসেন ও রনি হাওলাদারের নিকট মধ্যস্থতায় ছিলেন ছিদ্দিক হাওলাদার। জমির মুল্য ধরা হয় ৪লক্ষ টাকা। তারা নগদ ২লক্ষ ২৬হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধ করে দলিল নেয়ার কথা জানায়। এর পর থেকে সেলিম বার বার তাদের কাছে টাকার জন্য ধরনা দিয়েও কোন ফল পায়নি। গত ২১নভেম্বর সেলিম শেখ ভাতিজা আবুল হোসেনকে নিয়ে বাড়ী যাওয়ার পথে উপজেলার পিছনে বসে ছিদ্দিক হাওলাদার বিনা টাকায় দলিল দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে গালি গালাজ করে। এতে সেলিম আবুল কে নিয়ে পৌর মেয়রের নিকট বিচার দিতে গেলে পৌরসভার গেটে বসে ছিদ্দিক তাদের সাথে ঝগড়া বাধিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুছ হাওলাদার, রেজাউল ফরাজি, তুহিন সরদারসহ অর্ধশতাধিক লোক জমা হয়ে যায় এবং তাদের ঝগড়া করা থেকে ফিরাইয়া দেন। রাতে ছিদ্দিক সেলিম শেখ কে বাদ দিয়ে আবুল হোসেন ও আক্কাছ সরদার দুই ভাইকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন মামলা নং(৩৩) ২১-১১-২০১৩ইং। পুলিশ রাতেই আবুল হোসেনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করায় উপস্থিত সকলে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এনিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ছিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে মফিজুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমার বাবার সাথে সেলিম শেখের ঝগড়া হয়েছে কিন্তুু আবুল ও আক্কাছের বিরুদ্ধে কেন মামলা দিল বুঝতে পারছিনা। সে কার প্ররোচনায় হয়তো এই কাজ করেছে।
জমির মালিক সেলিম শেখ বলেন, আমার বিক্রি করা জমির টাকা না দিয়ে দলিল করে দেয়ার জন্য চাপ দিলে ছিদ্দিকের সাথে আমার ঝগড়া হয়। অথচ আবুল ও আক্কাছের নামে মিথ্যা ছিনতাই এর মামলা দায়ের করে। বর্তমানে পৌর মেয়র আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন জমির দলিল দিয়ে দে তা নাহলে তোকেও আবুলের মতো জেলে পাঠাবো।
এব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস হাওলাদার বলেন, ছিদ্দিক ও সেলিমের ঝগড়ার সময় আমি সহ অর্ধশতাধিক লোক জমায়েত হয়ে যায়। দলিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমি বাধা দিয়ে পরে মিমাংসা করার কথা বলি কিন্তুু রাতেই ছিদ্দিক ওদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা দিয়ে আবুলকে পুলিশ দিয়ে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এতে আমি হতবাগ হয়ে যাই।
পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ভাই বেলায়েত হোসেন বলেন, জমি নিয়ে কথার কাটা কাটি হয়েছে মেয়র বলছিল মিমাংসা করে দিবে কিন্তুু ছিদ্দিক কেন মামলা দিল তা জানিনা।